বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে রাজধানীর সাতটি এলাকায় চার দিনেই ২৫ হাজারের বেশি গুলি ব্যবহার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ওই সময় নির্বিচারে প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েও গুলি করা হয়। গত বছরের ১৮ জুলাই থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে চার দিন ধরে যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, রামপুরা, উত্তরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর চলে এই নারকীয় তাণ্ডব। ওই সময় থানায় দায়ের করা ২৮টি মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।
এজাহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই সময় এসব এলাকায় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের মোট ২৫ হাজার ৬৮৩ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ৭.৬২ (সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু) বোরের গুলি নিক্ষেপ করা হয় ৩ হাজার ৯৪টি। চায়নিজ রাইফেল, এসএমজি ও পিস্তল থেকে এসব গুলি ছোড়া হয়। আগ্নেয়াস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গুলি প্রাণঘাতী।
এ ছাড়া ১১ হাজার ৮৪৫টি সিসা কার্তুজ, শটগান থেকে ২ হাজার ২৯৭ রাউন্ড, পিস্তল থেকে ২৬৮ রাউন্ড এবং ৮ হাজার ৩৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়। এর বাইরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ১ হাজার ৮৫টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ২ হাজার ৬৬০ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ছাড়া লাইট হ্যান্ড গ্রেনেড ও লিডবল কার্তুজও ছোড়া হয়।
পুলিশের এক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ জানান, ৭.৬২ বোরের গুলি প্রাণঘাতী হলেও অন্যান্য গুলি প্রাণঘাতী নয়। তবে শটগানের সিসা কার্তুজ বা রাবার বুলেট খুব কাছ থেকে ছোড়া হলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া লিডবল সাধারণত শটগান দিয়ে ছোড়া হয়। ধরনভেদে এর একটি কার্তুজের ভেতর ৮, ১২, ১৬ বা ২৪ রাউন্ড গুলি থাকতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, আন্দোলন দমনে কোথায়, কী পরিমাণ গোলাবারুদের ব্যবহার হয়েছে, তা আলাদা আলাদা করে তালিকা করা হচ্ছে। এজন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত কোনো সংঘাতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাগুলোর এজাহারে পুলিশের ভূমিকা (কে কত গুলি বা টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে) উল্লেখ থাকে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে পুলিশ ওই মামলাগুলো করেছিল। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে এসব মামলা নিষ্পত্তি করেছে পুলিশ।
গত বছরের ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে এ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মূলত ওই সময় আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ওই সময় চলে নির্বিচার গুলি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর এলাকায় রীতিমতো ‘গুলিবৃষ্টি’ হয়। ওই সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ১৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত—এ চার দিনে সারা দেশে গুলিতে ১২৮ জন আন্দোলনকারী নিহত হন। এর মধ্যে রাজধানীতেই ৭৭ জন নিহত হন। ১৯ জুলাই রাজধানীতেই নিহত হন ৪৪ জন।
যেন গুলির বৃষ্টি: মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বৃষ্টির মতো গুলি করেছে। গত বছরের জুলাই মাসে আন্দোলনের সময় শাহবাগ থানায় দায়ের করা তিনটি মামলার এজাহারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের তিন ঘটনায় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে ১৯৬টি। সিসা কার্তুজ নিক্ষেপ করেছে ১১৮ রাউন্ড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে ২০২ রাউন্ড। এর মধ্যে লং শেল ৭৮টি ও শট শেল রয়েছে ৮১টি। চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি করা হয়েছে ৪৩ রাউন্ড। প্রজেক্টাইল ব্যবহার করা হয়েছে দুটি। এ ছাড়া লাইট হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার হয়েছে ৯টি।
মোহাম্মদপুর থানার অন্তত সাতটি মামলার তথ্যে দেখা গেছে, ওই এলাকায় চার দিনে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার হয়েছে ২১৯টি। সিসা কার্তুজ ২ হাজার ১৩৫ রাউন্ড ও এবং ৯৩৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। লং শেল ব্যবহার করেছে ২২৬টি ও শট শেল ব্যবহার হয়েছে ২৬টি। শটগান দিয়ে গুলি করা হয়েছে ৮০০ রাউন্ড। ওই এলাকায় প্রাণঘাতী ৭.৬২ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে ১১৮ রাউন্ড।
রামপুরা থানার এক মামলায় দেখা যায়, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে ৬টি। শটগানের গুলি করা হয়েছে ৩০৭ রাউন্ড। প্রজেক্টাইল ব্যবহার করা হয়েছে ৪টি। রাবার বুলেট ১৮০ ও সিসা বুলেট ২৫০ রাউন্ড।
কদমতলী থানার একটি মামলার তথ্যানুযায়ী, ওই এলাকায় একটি ঘটনায় শটগানের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে ১ হাজার ১৭৫ রাউন্ড। টিয়ার গ্যাসের শেল ১১০ ও চায়নিজ রাইফেলের গুলি ৭১৮ রাউন্ড নিক্ষেপ করা হয়েছে। ধানমন্ডি মডেল থানা এলাকায় দুটি ঘটনায় শটগানের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে ১১৫ রাউন্ড। টিয়ার গ্যাসের শেল ১০ রাউন্ড, সাউন্ড গ্রেনেড রয়েছে ৫৮ রাউন্ড। এই এলাকায় চায়নিজ রাইফেলের সঙ্গে প্রাণঘাতী এসএমজি থেকে গুলি নিক্ষেপের তথ্যও মিলেছে। এই দুটি অস্ত্র থেকে ৩৩৭ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এ ছাড়া রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে ২০ রাউন্ড।
যাত্রাবাড়ী থানার ছয়টি মামলার তথ্যে দেখা যায়, ৯ এমএম পিস্তল থেকেও ৫ রাউন্ড গুলি করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের পিস্তল থেকে ২৫৭ রাউন্ড এবং ৭.৬২ ও ৯.৯২ থেকে গুলি করা হয়েছে ৫ রাউন্ড। রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে ৪ হাজার ৩৭৪ রাউন্ড। সিসা বুলেট ব্যবহার হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৮ রাউন্ড। সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার হয়েছে ৪৭৩টি। গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে ১ হাজার ১৮১টি।
চায়নিজ রাইফেল থেকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭.৬২ বুলেট ছোড়া হয়েছে ১ হাজার ২৩৮ রাউন্ড। এ ছাড়া প্রজেক্টাইল ব্যবহার হয়েছে ১৫টি।
উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার পাঁচটি মামলার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসএমজি থেকে ৭.৬২ গুলি ছোড়া হয়েছে ১৭ রাউন্ড। লং ও শট শেল ছোড়া হয়েছে ১৪৯টি। চায়নিজ রাইফেল থেকে ৭.৬২ গুলি ছোড়া হয়েছে ৬টি। রাবার কার্তুজ ব্যবহার হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯টি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার হয়েছে ৬১টি। এ ছাড়া গ্যাসের শেল ব্যবহার হয়েছে ৫৩৮টি।
উত্তরা পশ্চিম থানার ৩টি মামলায় দেখা গেছে, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে ৭২টি। গ্যাস শেল ছোড়া হয়েছে ৫০টি। রাবার বুলেট ৩৪৩ ও সিসা বুলেট ১৫ হাজার ১ রাউন্ড। এ ছাড়া চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে ৩৭৭ রাউন্ড।
প্রাণঘাতী ৭.৬২ গুলির ব্যবহার বেশি যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি ও উত্তরায়: মামলাগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশে আন্দোলন দমাতে পুলিশ তুলনামূলক হালকা অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ওই এলাকায় গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছোড়া হয়েছে বেশি। তবে যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, ধানমন্ডি ও উত্তরা এলাকায় চায়নিজ রাইফেল, এসএমজি ও পিস্তলের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে ৭.৬২ গুলি ব্যবহার হয়েছে বেশি। যাত্রাবাড়ী এলাকায় পিস্তল থেকে ২৫৭ রাউন্ড এবং চায়নিজ রাইফেল থেকে ১ হাজার ২৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। ৫২ জন উপপরিদর্শক (এসআই) তাদের নামে ইস্যু করা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এই গুলি ছোড়েন। যাত্রাবাড়ীর পাশের থানা এলাকায় কদমতলীতে চায়নিজ রাইফেলের ৭১৮ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় পুলিশের ১৫ জন সদস্য চায়নিজ রাইফেল থেকে ৩৭৭ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে ৪৩ রাউন্ড। ১১ জন পুলিশ সদস্য তাদের ব্যবহৃত রাইফেল থেকে এই গুলি ছোড়েন। মোহাম্মদপুরে আন্দোলন দমাতে পুলিশ খরচ করেছে ১১৮ রাউন্ড ৭.৬২ বুলেট। ১০ জন পুলিশ সদস্য তাদের রাইফেল থেকে এসব গুলি ছোড়েন, যার মধ্যে চারজন ছোড়েন ২০ রাউন্ড করে। ধানমন্ডিতে চায়নিজ রাইফেল ও এসএমজি থেকে ৩৩৭ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রাণঘাতী ৭.৬২ মিলিমিটারের গুলি রাইফেল বা এসএমজি থেকে ছোড়া হলে তা লং রেঞ্জ ও পিস্তল ব্যবহার করে ছোড়া হলে সেটি শট রেঞ্জ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ রাইফেল, এসএমজি ও পিস্তল থেকে এই গুলি ব্যবহার করা হয়।
একজন কনস্টেবলই ছোড়েন ৫০টি করে সাউন্ড গ্রেনেড: মামলাগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২৮টি ঘটনায় পুলিশ যে ১ হাজার ৮৫টি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছিল, এর মধ্যে পুলিশের মাত্র ১৫ জন সদস্য ছোড়েন সাড়ে ৬০০ সাউন্ড গ্রেনেড। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পাঁচজন কনস্টেবল ৫০টি করে, একজন ৪৫টি এবং অন্য এক কনস্টেবল ২০টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক এসআই এক ঘটনাতেই ৬০টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। ওই এলাকায় আরেক এসআই ৩৯টি ও অন্য দুই এসআই ৩৮টি এবং ৩৫টি করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। ধানমন্ডি এলাকায় একজন এসআই ছোড়েন ৩০টি সাউন্ড গ্রেনেড।
যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আন্দোলন চলাকালে কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিসি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি গুলি করার অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্টের পর অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে বলে খোদ পুলিশে অভিযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, তদন্তের পর যাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের ধরা হচ্ছে।
যা বললেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ কালবেলাকে বলেন, পুলিশকে যেমন অস্ত্র দেওয়া হয়েছে, তেমনিভাবে অস্ত্র ব্যবহারের নিয়মও আছে। নিজের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যখন প্রয়োজন হবে, তখন তারা ৭.৬২ গুলি, যেটা মারণাস্ত্র হিসেবে পরিচিত তা ব্যবহার করতে পারবে। তবে এটা যখন ইচ্ছা তখন ব্যবহার করতে পারবে না। পরিস্থিতি তৈরি হলে ঘটনাস্থলে যিনি সিনিয়র কর্মকর্তা থাকবেন, তার অনুমতিক্রমে সীমিত পরিসরে মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্রের ব্যবহার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হয়েছে কি না—জানতে চাইলে নূর মোহাম্মদ বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের পুলিশ কখনো মোকাবিলা করেনি। আমরা এত বছর চাকরি করেছি, আমরাও দেখিনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের অস্ত্রের ব্যবহার বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপে আমরা দেখেছি, খুব কাছ থেকে শটগান দিয়ে গুলি করেছে। যেটা আপনি করতে পারেন না। শটগান দিয়ে গুলি করতে হবে দূর থেকে, যা অনেকের গায়ে লাগবে এবং অল্প ব্যথা পেয়ে সরে যাবে। ৫ থেকে ৭ হাত দূরত্ব থেকেও মারতে দেখা গেছে। যাতে পুরো শরীরজুড়ে অসংখ্য গুলি লেগে মানুষ হতাহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া যদি এসব অস্ত্রের ব্যবহার হয়ে থাকে, যেখানে কোনো প্রয়োজনই ছিল না, সেসব ঘটনার সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। যারা বাড়াবাড়ি করেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের বুকে কেউ এভাবে গুলি চালাতে না পারে। কালবেলা::
পাঠকের মতামত